• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন

×

খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের বিশেষ জরুরী সভা

  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৯ পড়েছেন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ খুলনা মহানগর শাখার এক বিশেষ জরুরী সভা আদি কালীবাড়ী পাড়া সার্বজনীন মন্দির প্রাঙ্গণে দেশের চলমান পরিস্থিতির আলোকে সংগঠনের সভাপতি শ্যামল হালদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুণ্ডুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বিশেষ জরুরী সভায় মহানগর পূজা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ, উপদেষ্টামণ্ডলী, মহানগর আওতাধীন ৮টি থানার সভাপতি—সাধারণ সম্পাদকগণ, বিভিন্ন ধমীর্য় সংগঠনের ও মন্দির কমিটির নেতাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভার শুরুতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের আত্মার শান্তি ও সদগতি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে প্রার্থনা করা হয়। সভায় মহানগর আওতাধীন ৮টি থানার সভাপতি—সাধারণ সম্পাদকগণ তাঁদের নিজ নিজ এলাকার বর্তমান পরিস্থিতিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অপরদিকে রূপসা মহাশ্মশান ও শ্মশান কালী মন্দির ও চিতা সংলগ্ন জায়গা বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগে পার্শ্ববতীর্ মৃত সুলতান সিকদারের পুত্র বাদল সিকদার গং রাতের অন্ধকারে বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলে এবং ঘর নির্মাণের জন্য ফাকা জায়গায় বাঁশ—খুটি জড়ো করে, যা সদর থানা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তাঁর আবেগঘন বক্তৃতায় উপস্থাপন করেন।

এ সময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং বেড়াসহ সকল মালামাল সরিয়ে নেয়ার জোর দাবী জানান। যেহেতু এটা একটি স্পর্শকাতর বিষয় সেহেতু দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আমাদের কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা থাকবে না বলে নেতৃবৃন্দ জানান। বর্তমানে এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারা দেশে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতনসহ নানা অপকর্মের নিন্দা জানান। যারা ধমীর্য় সংখ্যালঘুদের মন্দির, বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষায় বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রসমাজ, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকমীর্, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দলের নেতৃবৃন্দ, এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার ব্যক্তিবর্গ রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন ও খেঁাজ—খবর নিচ্ছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।

এছাড়া বিশেষ জরুরী সভায় অন্তর্বতীর্কালীন সরকারের নিকট সারা দেশের আইন—শৃঙ্খলা রক্ষায় দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান হয়। সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ এবং সন্ত্রাসী ও নৈরাজ্যকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি বিধানের জোর দাবী জানানো হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ—সভাপতি অরবিন্দ সাহা, সমরেশ সাহা, অধ্যাপক তারক চাঁদ ঢালী, প্রকৌশলী পরিমল দাস, যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ দে মিঠু, কোষাধ্যক্ষ রতন কুমার নাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জল ব্যানাজীর্, গণসংযোগ সম্পাদক সাংবাদিক বিমল সাহা, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহাদেব সাহা, তরুণ রায় শিবু, তাপস সাহা, প্রদীপ সাহা মদন, বাবলু কুমার বিশ্বাস, গৌরাঙ্গ সাহা, বিদ্যুৎ দাস, পলাশ সাহা, সুজিত মজুমদার, ইন্দ্রজিৎ কুণ্ডু গোপাল, শশাংক শেখর রায়, কাঞ্চন বোস, ভবেশ চন্দ্র সাহা, ভোলানাথ দত্ত, শংকর কুমার পোদ্দার, ইন্দ্রজিৎ রায়, সুব্রত হালদার তপা, সুশান্ত ব্যানাজীর্, কিংকর সাহা, অলোক কুমার দে, রবীন দাস, বাবু শীল, রুপন দে, সুরেশ চক্রবত্তীর্, স্বপন চক্রবত্তীর্, অশোক কুমার সেন, অসিত বিশ্বাস, রথীন্দ্রনাথ সরকার বাপ্পী, পরিতোষ কুমার হালদার, ডা. কে পি দাস, সঞ্জীব বণিক, সত্যপ্রিয় সোম বলাই, দীপংকর কুমার সাধু, অশোক দাস, রাজকুমার হেলা, সুশীল দাস, নারায়ণ চন্দ্র দাস, দেবকুমার হালদার, বিপ্লব চন্দ্র দে, শোভন কুমার বিশ্বাস, সুব্রত বিশ্বাস, রণজিৎ কুমার রায়, রাজু শীল, পরিমল দাস, জয় কৃষ্ণ মণ্ডল, শুভ দত্ত, খুলনা সদর থানা সভাপতি বিকাশ কুমার সাহা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পাপ্পু সরকার, সোনাডাঙ্গা থানা সভাপতি বিপ্লব মিত্র, সাধারণ সম্পাদক রামচন্দ্র পোদ্দার, খালিশপুর থানা সভাপতি রজতকান্তি দাস, সাধারণ সম্পাদক দীপক দত্ত, দৌলতপুর থানা সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ অধিকারী, খানজাহান আলী থানা সাধারণ সম্পাদক সুভাষ দত্ত, লবণচরা থানা সভাপতি ডা. শেখর পাল প্রমুখ।বার্তা প্রেরকপ্রশান্ত কুমার কুণ্ডু সাধারণ সম্পাদকখুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA